আজহারীকে ‘জামায়াতের প্রোডাক্ট’ বলায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অপসারণ দাবি মালয়েশিয়ায়
শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীকে জামায়াতের প্রোডাক্ট বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। বলেছেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আজহারীসহ কিছু বক্তা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে জামায়াতের প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লার দেয়া এমন আশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুরের পাসার বোরং সেলাংয়ের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মনির বিন আমজাদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ তার এক বক্তব্যে এই সময়ের জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা ও ইসলামী চিন্তাবিদ মিজানুর রহমানকে ‘জামায়াতের প্রোডাক্ট’ বলে যে মন্তব্য করেছেন এতে তিনি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আলেম-ওলামাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য আলেম-ওলামাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। তিনি দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষভাবে দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের ধর্মীয় স্বার্থ ও স্বাধীনতা রক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানান।
লিখিত বক্তেব্যে বলা হয়, ‘আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি সহজভাবে মেনে নেবেন না। কাজেই আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে শেখ আব্দুল্লাহকে অবিলম্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কার করবেন।
মিজানুর রহমান আজহারী সম্পর্কে তিনি আরো বলেন প্রবাস মালয়েশিয়াতে আজহারী প্রবাসীদের প্রিয় মানুষ। আমি ওনাকে দিয়ে অনেক ওয়াজ মাহফিল করেছি আমি কখনো দেখিনা তিনি কারো বিরুদ্ধে গীবত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে।
তার ওয়াজ শুনে তরুণ সমাজ অন্যায় কাজ থেকে ফিরে এসে নামাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বরং তিনি জামাতের প্রোডাক্ট নয় তিনি দ্বীনের প্রোডাক্ট। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ হানিফ, মোয়াজ্জেম হোসেন, আপন, কামাল, খলিল, সোহেল আহমেদ্, মোবারক আলী, পারভেজ, তারিকুল ইসলাম, আর কে কামাল, আক্কাস দেওয়ানসহ প্রায় ২ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।