‘দেড় মাসে সীমান্তে ১১ বাংলাদেশি নিহত’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালক (পরিকল্পনা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেছেন গত দেড় মাসে বাংলাদেশ সীমান্তে ১১ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বিজিবি পরিচালক। তিনি বলেন, গতবছরের ২৫ ডিসেম্বর থেকে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা ১১ জন। এ ধরনের মৃত্যু যাতে না হয় সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকে যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, একমাসে ৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালানের পণ্য ও মাদক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
গত মাসে ২টি পিস্তল, ৪টি বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
এ সময় মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭২ চোরাকারবারিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে ৩৮ জন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র দফতরে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান চাই সীমান্ত হত্যা বিষয়ে, যাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় কাউকে জীবন দিতে না হয়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশে-ভারতের হাইকমিশনারের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সীমান্তে কোনও মারণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না এবং সীমান্তে হত্যার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। তবে এটি ঘটছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আর একটি মৃত্যুও দেখতে চাই না (সীমান্তে)। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতও একমত যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও ঘটছে।’
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম ২৫ দিনেই ১৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বিএসএফের গুলিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কখনো ফেরত দিচ্ছে মরদেহ আবার কখনো শুধু ক্ষমা চেয়ে খালাস পাচ্ছে বিএসএফ। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে তাদের একটাই যুক্তি- অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ।