‘বাইরে থাকা রোহিঙ্গারাই মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল’
ক্যাম্প থেকে নয় বরং বাইরে অবস্থানরত রোহিঙ্গারাই অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগে এক অনুষ্ঠান শেষ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অবৈধ অভিবাসন রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা আরও জোরদারে নজর দিতে হবে।
ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিপদসংকুল পথে যাত্রা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই হয়ে দাঁড়ায় নিশ্চিত পরিণতি। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা। আশ্রয় শিবির থেকে এভাবে তাদের যাওয়ার চেষ্টা ও প্রাণহানিতে নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।
একটু বেশি রোজগার আর একটু ভালো করে বাঁচার আশায় জীবন তুচ্ছ করে মানুষ উঠে বসছে ইঞ্জিনের নৌকায়। মনে স্বপ্ন এই জলযান তাদের পৌঁছে দেবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। যেখানে অপেক্ষা করছে কর্মময় জীবনের সোনালী ভব্যিষত। সীমান্তের কড়া পাহারা, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে কখনো হয়তো পৌঁছানো যায় কাঙ্ক্ষিত দেশে।
কিন্তু প্রায়ই সাগরজলে প্রাণহানির মাধ্যমে খবরের শিরোনাম হন এসব মানুষ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে গত দশ বছরে বাংলাদেশ মিয়ানমারে দুই লাখ মানুষ সাগরপথে পাচার হয়েছে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। আটক হয়েছেন দশ হাজার। নিখোঁজ কিংবা মৃত্যুবরণ করেছেন আড়াই হাজার মানুষ। তারপরও থামছে না অবিনাশী যাত্রা।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের কাছে বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ১২ নারী ও ৩ শিশুসহ মোট ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয় আরও ৭৩ জনকে।