করোনা আক্রান্তদের দেখতে হাসপাতালে চীনা প্রেসিডেন্ট
যতটা তথ্য প্রকাশ্যে আসছে, তার চেয়ে বিপদ আরও বহুগুণ বেশি চীনে। প্রকৃত ছবিটা মূলত আড়াল করেই রেখেছে তারা।চিনে কতটা ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস, তা নিয়ে সংশয় বেড়েই চলেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে মাস্ক পরে, হাত গ্লাভস মুড়ে হুবেই প্রদেশের হাসপাতালগুলি পরিদর্শনে গেলেন। দেখা করলেন করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে, কথা বললেন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। চেষ্টা করলেন সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝে নেয়ার।
বছরের শুরু থেকে চীনে বড় সঙ্কট হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের জীবাণু করোনা ভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যেই তা মহামারি আকার ধারণ করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, করোনা প্রাণ কেড়েছে অন্তত হাজার জনের। গোড়ার দিকে মৃত্যুর হার তবু কিছুটা কম ছিল, ইদানীং সেই হার ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম দশা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের।
শুধু চিন নয়, বিশ্ব জুড়ে গবেষকরা নেমে পড়েছেন নোভেল করোনা রুখে দেয়ার ওষুধ তৈরিতে। কিন্তু সমাধানসূত্র অধরা। হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। বাড়ছে মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা।
এই অবস্থায় সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে ময়দানে নামলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সকাল তিনি হুবেই অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের আঁতুরঘরে গিয়ে হাজির হলেন। হাসপাতালগুলিতে ঢোকার আগে তিনি পুরোদস্তুর বর্ম পরে নিলেন। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস। আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর কথা বললেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। তাদের বুঝিয়ে দিলেন, আরও সচেতন হয়ে, আরও নিশ্চিত হয়ে তবেই পদক্ষেপ করতে হবে।
পরে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, চিন করোনা ভাইরাসের মতো ‘দৈত্য’-এর বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করছে। শুধুমাত্র সংস্পর্শেই এই রোগের সংক্রমণ এতটাই ছড়িয়ে পড়ছে, যা সার্সের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিন্তা অবশ্য অন্যত্র। ২০১৪-১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা যেভাবে মারণব্যধি হয়ে উঠেছিল, নোভেল করোনারও গতিপথ সেদিকে যাচ্ছে। কিছুতেই তাকে দমন করা যাচ্ছে না। ইউহান পরিদর্শন করে সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা গম্ভীর মুখেই জানিয়েছেন যে বিষয়টি গুরুতর, ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে।