ভালোবাসা দিবসে রুমে হাতেনাতে ধরা ২৪ জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা
সংস্কৃতি ও রীতি-নীতি পরিপন্থী হওয়ায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশটির সুলাওয়াসি দ্বীপের মকাসার ও রাজধানী জাকার্তার নিকটে দেপোক নগর কতৃপক্ষ ভালোবাসা দিবস পালন না করতে জনগণকে সতর্ক করেছিল। এছাড়া শরিয়া আইনে পরিচালিত প্রদেশ বান্দা আচেহ জুড়েও ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ।
মাকাসারের পুলিশ শুক্রবার বিভিন্ন গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন রুম থেকে প্রায় দুই ডজন অবিবাহিত কাপল(জুটি) একজন জার্মান নাগরিকসহ হাতনাতে আটক করে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় জননিরাপত্তা অফিসের প্রধান ইমান হুড বলেন, ঐ জার্মান নাগরিককে এক ইন্দোনেশিয়ান পার্টনারের সাথে ধরা হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী না হওয়ায় আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। এসব হতভাগা প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কুফল নিয়ে বক্তব্যের পর দ্রুত ছেড়ে দেয়া হয়। তবে আটককৃত পাঁচ যৌনকর্মীকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
হুদ বলেন, এই সামাজিক অবক্ষয়কে প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি ও নৈতিকতা ধরে রাখতে জনসাধারণকে এবিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার।
মাকাসার শহরে প্রকাশ্যে কনডম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই যেন ১৬ বছরের নিচে কারোর কাছে বিক্রি করা না হয় সেবিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করা হয়।
হুদ বলেন, কনডম শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিতদের জন্য। এগুলি খোলামেলাভাবে প্রদর্শন এবং বিক্রি করার জিনিস না। বাচ্চাদের চকলেটের মতো বা খাবারের মত কোন জিনিস না।
মকাসারের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মুহম্মদ ইকবাল সামাদ সুহে, তার শহরকে উন্মত্ত যৌন ও মাদকের ব্যবহারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবস যুবকদের আকর্ষণ করে। তারা এসব করতে গিয়ে আমাদের প্রথা, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের কথা ভুলে গিয়ে মাদকাসক্ত হয় ও অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আমাদের এসব প্রতিরোধ করতে হবে।
দিপাক নগর কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা দিবস পালনের বিরুদ্ধে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র শরিয়া আইন জারিকৃত অঞ্চল আচেহ দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রদেশটির বাসিন্দাদের ভালোবাসা দিবস উদযাপন না করার এবং কোনো ধরণের আইন লঙ্ঘন না করতে বলেছে। ডেইলি মেইল