মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল
অন্য কোনো রাজনীতি না করে মানবিক কারণেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপে কোনো জবাব পাওয়া গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে রাতে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘উনি(ওবায়দুল কাদের) কী বলেছেন, এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে বেটার হবে। এখন প্রশ্ন একটাই যে, দেশনেত্রীকে এই মুহূর্তে তার শরীরের যে অবস্থা, গুরুতর অবণতি হয়েছে। তার ট্রিটমেন্টের জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার পরিবার থেকেই আবেদন জানানো হয়েছে। সরকারের এখন আর এগুলো নিয়ে বা অন্য কারো এগুলো নিয়ে অন্য কোনো রাজনীতি না করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।”
সকাল ধানমন্ডির দলের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন, আলাপ হয়েছে। তাদের দলের পক্ষ থেকে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। আমি যেন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করি।”
‘আবার খালেদার জামিন আবেদন’
আগামী সাপ্তাহে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবার আবেদন করবেন তার আইনজীবীরা। স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এই কথা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, হাইকোর্ট দেশের জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে আমরা এবার জামিনের আবেদন যদি করি অবশ্যই আমরা জামিন লাভ করবো।”
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র আইনজীবীদের এই বৈঠক হয়।
লন্ডন থেকে স্কাইপেতে যুক্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ছিলেন।