গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা দিতেই হবে
গ্রামীণফোনকে আগামী সোমবারের মধ্যে বিটিআরসির পাওনা দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির যে পাওনা টাকা সেটা কমানেরা কোনো সুযোগ নাই। সেক্ষেত্রে তাদের আগামী সোমবারের মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বাকি টাকার বিষয়ে ওই দিন পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
এদিন গ্রামীণফোনের আইনজীবী ছয় মাস সময় চেয়ে বলেন, তারা ৫৭৫ কোটি টাকা দিতে চায়। কিন্তু আদালত সেই আবেদন গ্রাহ্য না করে সরাসরি বলেছেন, আগে এক হাজার কোটি টাকা দিতে হবে বিটিআরসিকে। এসময় আদালত বলেন, শুধু টাকা কমালে হবে না। টাকা দিতেও হবে।
এর আগে, সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুই হাজার কোটি টাকা পাওনার মধ্যে বিটিআরসিকে ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণফোন প্রস্তুত বলে জানায়। বাকি টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন জিপি'র নতুন প্রধান নির্বাহী। তবে উচ্চ আদালতের আদেশ ছাড়া কোনভাবেই ৫৭৫ কোটি টাকা নেবে না বিটিআরসি। এমনটা জানিয়ে দিয়েছিলো সংস্থাটি। ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পুরো টাকা না দিলে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির দাবি করা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তিন মাসের মধ্যে গ্রামীণফোনকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর বিটিআরসির পাওনা দাবির একটি অংশ পরিশোধে রাজি হয় গ্রামীণফোন। তবে দুই হাজার কোটি টাকা নয়; ১২ কিস্তিতে মাত্র ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধের সুযোগ চায় তারা। এই দাবি নিয়ে সম্প্রতি আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেছে দেশের শীর্ষ এই অপারেটর। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।