নিরপেক্ষ বিচার হয়নি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের : ফখরুল
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হয়নি, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবররস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের কবর জিয়ারত করে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছেন, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। ঘটনা নিয়ে সেনাবাহিনী থেকে ওই সময় যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। আমরাও মনে হয়, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেব।
দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রথমে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বেদিতে ফুল দেন মির্জা ফখরুল। তারা শহীদদের স্মরণে মোনাজাত ও দোয়াপাঠ করেন।
এদিনটিকে ইতিহাসের জঘন্যতম দিন হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদর দপ্তরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। বিদ্রোহের বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ৬ হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়। বিদ্রোহের বিচারের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে। ঢাকা জজ আদালত ২০১৩ সালে দেয়া রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২৫৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়। ২০১৭ সালে দেয়া রায়ে ১৩৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। ১৮৫ জনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন, তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেন ২২৮ জনকে।