নোয়াখালী জেলার ৯টি উপজেলায় ৭ দিনে ৯০জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৭ দিনে ৯০জন মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এদের মধ্যে বিদেশ ফেরত প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি। করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০ শয্যা বিশিষ্ট চর আলগী হাসপাতাল।
সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৯০জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এরমধ্যে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, তিনি ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিজের বাসভবনে থাকবেন। কারণ তিনি বাইরে গেলে শত শত লোক ঘিরে ধরে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। তাই জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জনসম্মুখে না এসে এই কিছুদিন তিনি তার বাস ভবনে অবস্থান করবেন। তবে জরুরি প্রয়োজনে জেলার যে কোন নাগরিক তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের সহযোগিতা করবেন।
এদিকে করোনা ভাইরাস সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নোয়াখালী শাখা। পরিষদের সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খাঁন বলেন, এ ভাইরাসটি প্রতিরোধে সবাই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে জ্বর, হাঁচি ও কাশির রোগীরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিবেন। নির্দারিত সময় তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। আতংকিত না হয়ে করোনা মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে জেলার সকল ডাক্তারদের স্বাচিপের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারের সকল বিভাগকে সহযোগিতা করুন, নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচান।
এদিকে বৃহস্পতিবার নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং সম্মিলিতভাবে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম সরদার।