আজকের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীকারের পথে পা বাড়িয়েছিলো তাই আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনা আর রক্তক্ষয়ী নানা সংগ্রামের পথ পেরিয়ে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীকারের পথে পা বাড়িয়েছিলো। ২৫ শে মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরুর পরপরই ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে লাল সবুজের সেই বাংলাদেশকে ছিনিয়ে এনেছিলো বাঙালি।
লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, গণহত্যা শুরু হবার পরে প্রস্তুতি নিতে কিন্তু সময় লেগেছে। প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার পরে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিরোধ হয়েছে। যেহেতু এটা জনযুদ্ধ, যিনি মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণ নিয়ে করেছেন তিনিও যেমন যোদ্ধা, তেমনি এখানে থেকে যিনি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তিনিও যোদ্ধা। তাজউদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলো, তখন পুরো বিষয়টা একটা সংগঠিত রূপ পেলো।
একটি জাতির জন্য দিশেহারা সময়েও, নির্দেশ দিতে দেরি হয়নি তার নেতার।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু কিন্তু অনেক আগেই এ বিষয়গুলি ভেবে রেখেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা, কোথায় প্রবাসী সরকার গঠিত হবে। এসব কিছু কিছু নেতৃবৃন্দকে বলে রেখেছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা তার জায়গা থেকে পালিয়ে যেতে পারেন না। তিনি তার জায়গাতেই থাকবেন। ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন, স্বাধীনতার জন্য ছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এইটা যদি আন্তর্জাতিক মহল বুঝতে পারে, তাহলে আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন কমে যাবে। বঙ্গবন্ধু কিন্তু নির্বাচন করে প্রমাণ করলেন তিনি কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে যাচ্ছেন না। বঙ্গবন্ধু’র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিলো একটি স্বাধীন বাংলাদেশ।
চারদিকে থমথমে পরিবেশ। ২৫শে মার্চে নৃশংস গণহত্যার পর বাঙালি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা দেশকে স্বাধীন করবে। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।