নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণের চালের স্লিপ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ
নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মৎস্য অধিদপ্তরের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক অভিযোগে ত্রাণ গ্রহণকারীরা ত্রাণের চাল বিতরণে বাধা সৃষ্টি করে। পরে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা ত্রাণ বিতরণস্থল চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
মৎস্য কার্ডধারীরা অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন খন্দকার ও চর হাজারী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ’র যোগসাজশে জেলেদের কার্ড বিতরণে প্রথমে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। আবার মৎস্য অধিদপ্তরের মনোনীত জেলে কার্ডধারীদের বাদ দিয়ে স্থানীয় সাইফুউদ্দিন রানার মাধ্যমে ২০০ টাকা করে আদায় করে ভুয়া কার্ড দিয়ে ৩০জনের মধ্যে ত্রাণের চাল বিতরণের চেষ্টা করে। পরে মৎস্য কার্ডধারীদের বাধার মুখে আজকে সকালে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফয়সল আহমেদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভূর্মি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে । ২০০শত টাকা করে আদায় করে নেওয়া ভুয়া জেলেদের ত্রাণ কার্ডের দুটি স্লিপ আমি জব্দ করেছি এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মিদের ভুয়া ত্রাণ বিতরণের স্লিপ দুটি দেখিয়েছি । তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন খন্দকার তার যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান প্রান্তিক মৎস্য জীবিদের মধ্যে ত্রাণের চাল বিতরণ সম্পর্কে অবশ্যই অবহিত আছেন। না হলে তার কার্যালয়ে কিভাবে আজ চাল বিতরণের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা দাবি করেন, এসব বিষয়ে তিনি অবগত নয়, এসব বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ নাকচ করে বলেন, তিনি এ ঘটনায় কোন ভাবেই জড়িত নয়।