টাঙ্গাইলে উপসর্গ ছাড়াই নতুন করে স্বামী-স্ত্রীসহ আরো ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলে উপসর্গ ছাড়াই নতুন করে স্বামী-স্ত্রীসহ আরো ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দেলদুয়ার উপজেলায় ৩ জন এবং মির্জাপুর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩২ জনের দেহে করোনার ভাইরাসে শনাক্ত হলো।
মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলা থেকে মোট ৫৩ টি নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ৫ জনের আক্রান্তের বিষয়টি জানানো হয়। একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা এটি।
দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের চালাটিয়া গ্রামের স্বামী-স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাদের কোন উপসর্গ ছিল না। তবে ওই ব্যক্তি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি গত কয়েকদিন আগে সাভারের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে পাথরাইল ইউনিয়নের টিনাখোলা এলাকার আরেক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলায় একটি এনজিওতে কাজ করতেন। বিগত কয়েকদিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসলে পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে তারও কোন উপসর্গ ছিল না। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই প্রথম দেলদুয়ার উপজেলায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলো।
অপরদিকে মির্জাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসদুসা খানম বলেন, আক্রান্ত দুইজনের একজন উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রামের একজন স্বাস্থ্যকর্মী। সে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি’র দায়িত্বে রয়েছেন। অপরজন আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা গ্রামের ৪২ বছরের এক দিনমজুর বলে জানা গেছে। তিনি ঢাকা যাওয়ার কারণে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের দুই জনেরই করোনার তেমন কোন লক্ষণ ছিল না। এ নিয়ে এ উপজেলার ৫ জন করোনা পজিটিভ হলেন। তাদের মধ্যে এক নারী ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।