প্রত্যেক ক্রেতাকে সঙ্গে রাখতে হবে পরিচয়পত্র ঈদে এক এলাকার ক্রেতা যেতে পারবেন না অন্য এলাকায় (ডিএমপি)।
করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব রোধে সরকার শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। শপিং মল ও মার্কেট খোলা রাখা এবং জনসাধারণের কেনাকাটার ক্ষেত্রে ১৪ দফা নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় গিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন না। এছাড়াও প্রত্যেক ক্রেতাকে সঙ্গে রাখতে হবে পরিচয়পত্র।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিং মল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। ক্রেতারা নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিং মলে কেনাকাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকার শপিং মলে যেতে পারবেন না। এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক ক্রেতাকে পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে এবং প্রয়োজনে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখাতে হবে।
শপিং মলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মার্কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
মাস্ক পরিধান ব্যতীত কোনও ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। শপিং মল, বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সংবলিত ব্যানার টাঙাতে হবে।
শপিং মলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে এক মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।
মলগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে। মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না।
মলগুলোতে প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে। পার্কিং লটে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজিতে দুজনের বেশি থাকতে পারবে না।
যারা মাস্ক না পরে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নেবে, না হলে যেন মার্কেটে ঢুকতে না পারেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে।