করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশে কার্যত আর কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা টিকে নেই।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশে কার্যত আর কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা টিকে নেই। গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে, ঢাকার রাস্তাঘাট ফিরেছে পুরনো চেহারায়। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল দোকানপাট খুললেও তার অনেকদিন আগ থেকেই শুরু হয়েছে মহড়া।
এই খুল্লাম খুল্লা অবস্থায় কোথায় গিয়ে থামবে করোনাভাইরাস? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম কালাম আজাদ বলেছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে একদিনে ৬৫ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, এক্সপার্টদের এমন একটা বিশ্লেষণ আমাদের কাছে আছে।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিশ্লেষণ আছে।
সর্বোচ্চ সংক্রমণের ভবিষ্যদ্বাণী করা বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দিনে আক্রান্ত হবে ৬৫ হাজার মানুষ। তার মধ্যে যদি ২০ ভাগ লোককেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাহলে ১২ থেকে ১৪ হাজার মানুষকে ভর্তি করতে হবে একদিনেই। আমাদের মতো দেশের পক্ষে যেটা বেশ কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেওয়ার সময় আমরা এসব বিশ্লেষণকে মাথায় রাখছি।
দেশব্যাপী হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটির কাছ থেকে পাচ্ছি ২ হাজার শয্যার আইসোলেশন হাসপাতাল।
‘এছাড়া রোগীর ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম বদলেছি আমরা, আগে অন্তত ১৪ থাকতে বাধ্য করা হলেও বর্তমানে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি কোনো ওষুধ না লাগে তাহলে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে নতুন রোগীদের জন্য প্রস্তত রাখা হচ্ছে হাসপাতালের শয্যা।’ বলেন অধ্যাপক আবুল কালাম।