করোনা মোকাবিলায় এডিবির সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের সুরক্ষা সামগ্রীর ও চিকিৎসা সেবা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সরকার।
বুধবার (১৩ মে) এ বিষয়ে এডিবি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন পারকাশ এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ১০ বছরের রেয়াতকালসহ মাত্র ১ শতাংশ সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে এডিবির কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ নিতে আরও একটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ।
গত ৩০ এপ্রিল ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেয়া হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এডিবি মনে করে, এ ঋণ দিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চিকিৎসা সামগ্রী ও করোনা পরীক্ষার কিট কেনা এবং চিকিৎসা খাতের অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে করোনা মোকাবিলায় কার্যকর নজরদারি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি এসব কাজে দ্রুত সাড়া প্রদান সম্ভব হবে।
ফলে আইসোলেশন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটসহ (সিসিইউ) ১৭ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়, অন্তত ১৯টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার কর্মীকে (৫০ শতাংশ নারী) প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আরও অনেক চিকিৎসক ও কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইআরডি জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে সরকার‘কোভিড১৯ রেসপন্স ইমারজেন্সি অ্যাসিসট্যান্স’ শীর্ষক যে প্রকল্প নিয়েছে তাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ১৩ লাখ ডলার।
এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন করল এডিবি। বাকি ১ কোটি ১৩ লাখ ডলার সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ভাইরাসের বিস্তার রোধ, নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা সেবা জোরদার করা এবং জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
এছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষা বাড়ানো এবং মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব ও পিসিআর মেশিন বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে ইআরডি।