টঙ্গীতে সরকার ঘোষিত বেতন ভাতার দাবীতে পোষাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর প্রতিনিধি
সরকার গোষিত শত ভাগ বেতন, ঈদ বোনাসের দাবীতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কারখানায় ভাংচুর করেছে। গতকাল ১৪ই মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ২টা পর্যন্ত শিল্পনগরী টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধসহ গাড়িতে আগুন দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আমটানেট গ্রæপ গামেন্টস সেক্টর ভিলেজ, হামিমসহ বেশ কয়েকটি কারখানার গেইট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকার আসবাপত্র ও মেশিনারিজ ভাংচুর করে।
এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগালী, স্টেশন রোড এলাকাসহ টঙ্গীর উল্যেগযোগ্য সড়কগুলো অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভোগান্তিতে পরে হাজার হাজার মানুষ।
এসময় আন্দোলনকৃত শ্রমিকরা বলেন, আমাদেও পরিবার পরিজন নিয়ে চরতে কষ্ঠ হচ্ছে । আমরা সাধারন শ্রমিকরা খুব কষ্টে দিনযাপন করছি মালিক পক্ষ আমাদের কষ্টের কথাগুলো শুনতে ও চান না। আমরা এতো পরিশ্রম করে মা, বাবা সন্তানদের মুখে এক বেলা খাবার দিতে না পারলে আমাদের বেচে থেকে লাভ কি? এর মধ্যে দোকান বাকি ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ি ভাড়ার জন্য মালিক বারবার চাপ দিচ্ছে আর দোকানদার বাকি দিবে না বলে বাকি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। বাড়ির মালিকের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছি। সামনে ঈদ তাই আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনা পরিশোধের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। মালিকরা একাধিকবার বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও কর্তৃপক্ষ নানান তালবাহানা করে বার বার সময় নিচ্ছে। সরকার ঘোষিত ৬৫ ভাগ বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন না করে তালবাহানা করছে।
শ্রমিকরা আরো জানায়, বিসিকের প্যাট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেলস্ ও রেডিসনসহ আরও তিনটি কারখানায় শ্রমিক কাজ করলেও আজ সকাল থেকে বেতন ভাতা না দিয়ে করোনা মহামারির কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কারখানা বন্ধ ও খোলার সঠিক তথ্য না পেয়ে শ্রমিকরা এ আন্দোলন শুরু করে।
এছাড়া আন্দোলনকৃত শ্রমিকদের একাংশ বিক্ষোভ করে মেইলগেইট এলাকার গিয়ে হামিম গ্রæপের একটি প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় জোড়পূর্বক প্রবেশ করে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হামিম গ্রæপের একটি কারখানার সি সি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে তারা সিকিউরটি গার্ডসহ বেশ কয়েকজন স্টাফকে মারধর করে এবং গাড়ি ও মেশিনারিজ ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। এসময় হামিম কতৃপক্ষ বহিরাগত শ্রমিক ও সন্ত্রাসী চক্রের ৩৫জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এব্যাপারে আমটানেট গ্রæপ গামেন্টস সেক্টর ভিলেজ এর ব্যাবস্থাপক প্রশাসন ইমরুল কায়েস সুজনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের কারখানার শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। আমার কারখানার শ্রমিকদের কোনো বেতন বকেয়া নেই ।