রাজবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর সন্তান প্রসব, পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে থানায় মামলা
দেড় বছর আগে প্রেম। তারপর বিয়ের আশ্বাসে অন্তরঙ্গ হওয়া। এখন সপ্তম শ্রেণীর ওই মাদরাসা ছাত্রী (১৪) একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এখন সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে থানায় মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রী।
ভুক্তভুগী জানায়, ‘উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গ্রামের ইউপি সদস্য আয়ুব আলী সরদাররের ছেলে সোনাপুর মীর মশাররফ হোসেন কলেজের ছাত্র আকিদুল ইসলামের সাথে দেড় বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক। হঠাৎ একদিন রাতে দেখা করার জন্য পুকুর চালায় নিয়ে গিয়ে বিয়ের আশ্বাসে মেলামেশা করে। কাউকে বিষয়টি প্রকাশ না করতে বলে। আর বললে সমস্যা হবে। তাই ভয়ে আমি কাউকেই বিষয়টি জানায়নি। আমার গর্ভের সন্তানের বাবা আকিদুলই। আমি সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।’
ভুক্তভুগী ছাত্রীর নানা বলেন, ‘আমার বাড়িতে থেকে সে স্থানীয় মাদরাসায় লেখাপড়া করে। আমরা আগে থেকে বিষয়টি জানি না। পেটের সন্তান বড় হতে দেখে বিষয়টি টের পাই। বালিয়াকান্দিতে নিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। শুক্রবার রাজবাড়ী নিরাময় ক্লিনিকে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্ত আকিদুল পলাতক থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।’ এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ছেলের বাবা আইয়ুব আলী সরদার বলেন, ‘রক্ত পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্ট করার পর যদি আমার ছেলে দোষী হয়, যে শাস্তি হয় মেনে নেব। আমার ছেলে এ কাজের সাথে জড়িত নয়।’ বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়েদুল হক বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’