দিলারা রহমান একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাংনীবাসীর যোগ্য অভিভাবক - সফলতার প্রতিচ্ছবি
এম এ লিংকন মেহেরপুর প্রতিনিধি
একজন নারী,একজন মা,একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দিলারা রহমান। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গাংনীবাসীর একজন যোগ্য অভিভাবক। মানুষ কতটা সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্তব্যপরায়ণ হলে সফলভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি ,অসঙ্গতি পায়ে মাড়িয়ে সফলতার সূর্যকে হাতে ছুঁতে পারে। দিলারা রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের প্রতিচ্ছবি না দেখলে অনুমান করা সম্ভব হবে না।
প্রায় বছর খানেক আগে দিলারা রহমান মাগুড়া শ্রীপুর থেকে গাংনীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেছিলেন। যোগদানের পর থেকেই সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া গাংনীকে বাংলাদেশের মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও উপজেলা প্রশাসনকে বিকেন্দ্রিকরণ করে মানুষের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করেন। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসেন।
শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি প্রতিনিয়ত গ্রামে গঞ্জে ছুটে বেড়িয়েছেন। শিক্ষকদের দায়িত্বশীল হতে পরামর্শ দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে পৌছে দিতে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করতেন। তিনি একজন আদর্শবান, সৎ, নিষ্ঠাবান অফিসার।
তিনি সরকারী নির্দেশনার আলোকে উপজেলার সমস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনপ্রনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দায়িত্ব সুচারুরুপে পালন করে ছিলেন এবং সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ছিলেন।তিনি কখনও অনিয়ম দুর্নীতকে প্রশ্রয় দিতেন না। সেকারনে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কুচক্রী মহল স্বার্থসিদ্ধি না করতে পেরে অনেকেই আজ অখুশী হয়েছেন। তিনি গাংনীকে একটি মডেল ও ডিজিটাল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তিনি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের আপামর অসহায় দুস্থ হতদরিদ্র
জনগোষ্ঠীদের খুঁজে খুঁজে তাদের পারিবারিক কষ্টের কথা বিবেচনা করে তাৎক্ষনিকভাবে সরকারী ত্রাণ তহবিলের ঢেউটিন, নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় প্রতিবন্ধী, ইয়াতিমদের হুইল চেয়ার, পোষাক, খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন।তিনি কখনও কখনও ইয়াতিম অসহায়দের কোলে তুলে নিয়ে মমতাময়ী মায়ের ভূমিকা নিয়ে সেবা করেছেন। আবার মানবতার হাত বাড়িয়ে তাদের সহায়তা করেছেন।তার অফিস সাধারণ জনগণের জন্য ছিল উন্মুক্ত।তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ধৈর্য্য ধওে শুনে তা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। সরকারী নিয়মে বদলীজনিত কারণে তিনি অন্যত্র দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। এই খবরে গাংনী উপজেলা বাসী আজ মর্মাহত।
গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবীদের মতামত নিয়ে জানা গেছে, সকলের চাওয়া দিলারা রহমানের মত একজন যোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাংনীতে আরও কিছুদিন অবস্থান করলে সরকারের নেয়া এমডিজি তথা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো। তার বিদায় কালে গাংনীর কতিপয় কুচক্রীমহল নানাভাবে করে দিলারা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে মানহানিকর অশালীন কথাবার্তা বলেছেন যেটা দুঃখজনক।