টাকার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ বিস্তারের ঝুঁকি - কাগুজে নোটে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, করোনারও আশঙ্কা
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নগদ টাকায় লেনদেনে ক্রমেই অনাগ্রহ বাড়ছে গ্রাহকদের। যদিও সর্বস্তরে অনলাইন বা কার্ডভিত্তিক লেনদেনে আর্থিক খাতের পাশাপাশি এখনও প্রস্তুত নয় দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
সংকটকালীন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, এ ব্যাপারে এখনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার আহ্বান সেবাদাতাদের। অন্যদিকে শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, বরং রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতেও কাগুজে নোটে লেনদেন কমানোর পক্ষে অর্থনীতিবিদরা।
টাকার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ বিস্তারের ঝুঁকি নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এমনকি দেশীয় একদল গবেষক গত বছর জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত কাগুজে নোটে পাওয়া গেছে বিপদজনক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি।
সম্প্রতি করোনা সংকটে আবারো আলোচনা, কাগুজে নোটের সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে। চীনা গবেষকদের মতে করোনাভাইরাসের জীবাণু টাকার উপর টিকে থাকতে পারে কয়েকদিন পর্যন্ত। ফলে হাতবদলের মাধ্যমেই আশঙ্কা থেকে যায় সংক্রমণের। আর এই আতঙ্কে চিন্তিত নাগরিকরা চাইলেন অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের বিস্তার।
একজন বলেন, টাকায় ভাইরাসটা ছড়াতে পারে তাই অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে কিছুটা হলেও এই ভাইরাসের সক্রমণ কমিয়ে আনা যাবে।
গত বছরের শেষ ছয় মাসে মাত্র ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে। গ্রাহকপর্যায়ে আগ্রহ থাকলেও সর্বস্তরে নগদ টাকাবিহীন লেনদেন চালু করতে না পারায় এর সুফল মিলছে না রাজস্ব আয়ে এমন মত সেবাদাতা আর অর্থনীতিবিদদের।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ সিনিয়র অ্যাডভাইজার ইমরুল হাসান খান বলেন, যারা নগরে বাস করেন তাদের একটা অংশ অনলাইম পেমেন্টের সঙ্গে জড়িত। বাকিরা সবাই বাইরে।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে কিছু অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা আছে। অনলাইনের মূল্য কিছুটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
করোনাভীতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল ব্যাংক নোট। বেশ কয়েকটি দেশে ঘটেছে কাগুজে নোট পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনাও।