ব্যাংকের মুনাফা ধরে রাখতে ব্যয় কমানোর সুপারিশ বিএবির
করোনা মহামারীতে মন্দার মধ্যেও ব্যাংকের মুনাফা ধরে রাখতে কর্মীদের বেতনসহ ব্যয় কমানোর সুপারিশ করেছে উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি। সংগঠনটির চেয়ারম্যান বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অবহিত করেছেন।সিটি, এক্সিমসহ কয়েকটি ব্যাংক এরই মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে কর্মীদের বেতন। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ব্যাংকগুলোর মুনাফার চিন্তা বাদ দেয়া উচিৎ।
সম্প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকার বেশি বেতন পাওয়া কর্মীদের বেতন ১৫% কমানোসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের চিঠি পাঠায় বিএবি। চিঠিতে সব ধরনের নিয়োগ, ট্রেনিং, বিদেশসফর, স্থায়ী সম্পদ কেনা বন্ধ রাখা, নতুন শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপ-শাখা না খোলা, গ্রাহক ও অভ্যন্তরীণ গেট টুগেদারের মত আয়োজন না করা, সফটওয়্যার, হার্ডওয়ার কেনা সীমিত রাখা, এমনকি সব ধরনের বিজ্ঞাপন খরচ এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেয়া হয়। ব্যাংক খাতের আয় সংকুচিত হয়েছে, তাই টিকে থাকতেই ২০২১ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন বিএবি সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার।
তিনি বলেন, অর্থনীতির সংকটকালীন অবস্থা চলছে। প্রায় সব ব্যাংকের ইনডেক্স কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কি করতে হবে? ওভারহেড সবচেয়ে বড় খাত হলো বেতন। মাননীয় গভর্নর বলেছেন, নিম্ন আয়ের যারা আছে তাদের বেতন কমালে চলবে কিভাবে? আমরা বলেছি, স্যার আমরাও অমানবিক নই। বিএবির সুপারিশ পাওয়ার আগেই ৩০ হাজার টাকার ওপরে বেতন পাওয়া কর্মীদের বেতন ১০% কমিয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যবসা কমে যাওয়ায় সাময়িক এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হওয়ার কথা বলছে ব্যাংকটির এমডি মাসরুর আরেফিন।
করোনাকালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে ব্যাংকারদের। তাই কর্মীদের বেতন কমানোর বিপক্ষে মত সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাংকে শুধু পরিচালন ব্যয় এবং কর্পোরেট ট্যাক্স দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেই যথেষ্ট। আমার মনে হয় তাতেই টাকা উঠে যাবে। বেতন কমানো উচিত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে কাজ করেন এক লাখ ৯ হাজারের বেশি কর্মী।