মন্দা প্রভাব কাটিয়ে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ: এডিবি
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা আগামী অর্থবছরেই (২০২০-২১) কাটিয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে চার দশমিক পাঁচ শতাংশে। মন্দা প্রভাব কাটিয়ে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এই দাবি করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ অর্থবছরে করোনাভাইরাসের কারণে প্রবৃদ্ধি মন্দা হলেও ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২১ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রথম দুই প্রান্তিকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পরের ধাপে দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, দেশে যখন মহামারি তীব্র আকার ধারণ করে তারপর থেকে তিন মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক করার সময় ধরে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যকলাপ এবং আর্থিক প্রণোদনা ব্যবস্থার প্রভাবগুলোকেও বিবেচনা করে করা হয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘২০২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এক শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পরে করোনা মহামারিজনিত কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে কমে যায়, তবে ২০২১ অর্থবছরে এটা পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ২০২১ অর্থবছরের অবস্থা আগামী মাসগুলোতে করোনার আকার কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করবে।
মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ
সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে ২০২০ অর্থবছরের শেষ তিন মাসে খরচ, উৎপাদন এবং বিনিয়োগ তীব্র হ্রাস হয়েছে। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় রফতানি আয় দ্রুত হ্রাস পায়। ২০২০ সালের জুন থেকে সরকার ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার পরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর ২০২১ সালে মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে থাকবে বলে জানাচ্ছে এডিবি।