পারেননি রোনালদো, পারল না য়্যুভেন্তুস
পারলেন না রোনালদো, পারল না য়্যুভেন্তুস। ফাইনালের পেনাল্টি শুটআউটের ভাগ্য পরীক্ষায়, নাপোলির কাছে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছে তুরিনের ক্লাবটি৷ এ জয়ে অর্ধযুগ পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল নাপোলি। হাড্ডাহাড্ডির নির্ধারিত সময়ের ফলাফল ছিল গোলশূন্য।
তৃতীয় প্রচেষ্টায় করোনা জয় করতে পারলেও নাপোলির দেয়াল গোলরক্ষক অ্যালেক্স মারেটকে বাঁধা জয় করতে পারলেন না পাওলো দিবালা৷ দানিলোর নেয়া য়্যুভেন্তুসের পরের শটটি যায় গোলবার ওপর দিয়ে। ব্যাস ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই নির্ধারিত৷
বিপরীতে নাপোলির হয়ে ৪ শটে ৪ গোল ইনসিনিয়ে, পলিতানো, ম্যাক্সকোভিচ আর মিলিচের। ফলাফল ৬ষ্ঠবারের মতো শিরোপার স্বাদ। য়্যুভদের ট্রেবল জেতার স্বপ্ন ধূলিসাৎ ক্রিস্টিয়ানোর।
মিরাকল অথচ পুরো ম্যাচজুড়েই ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে উঠে এসেছে এই শব্দটি। যে কাজটি করে দেখিয়েছেন দু'দলের গোলরক্ষকরা। ইপিএলের ভিড়েও টিভিসেটে যারা চোখ রেখেছিলেন কোপা ইতালিয়ার, জম্পেশ লড়াই তাদের রাতজাগাকে করেছে স্বার্থক।
রোমোর ফাইনালে ম্যাচের ৮ মিনিটেই রোনালদোর শট রুখে দেন মারেটকে৷ ২৪ মিনিটে আবারো রোনালদো মারেটকে। ফলাফল আবারো গোলবঞ্চিত।
ইনসিনিয়ের প্লেসিং ২৬ মিনিটে বারে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারতো নাপোলিও। আর প্রথমার্ধের শেষ দলকে রক্ষা করেন ৪৩ বছর স্পর্শ করতে যাওয়া জিয়ানলুইজি বুফন। বুফনের বুড়ো ভেলকি অব্যহত থাকে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়েই। যেখানে ম্যাচের একক আধিপত্য নেয় নাপোলি। রোনালদোকে চিনতে হয়েছে ৭ নম্বর জার্সি দেখেই।
যোগ করা সময়ে বুফনের এমন দুটো সেভই মূলতে ম্যাচে রেখেছিল য়্যুভেন্তুসকে। কোপা ইতালিয়ার নিয়মানুসারে অতিরিক্ত সময়ের খেলা নয় বরং ম্যাচ সরাসরি গড়ায় ট্রাইব্রেকারে৷ যেখানে সব উৎসবে পানি ঢেলে দেন দিবালা-দালিনো৷
সিরিআ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে এমন জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে নাপোলিকে৷ আর ১০বারের মতো কোপা ইতালিয়ার ট্রফি জিততে না পারার বেদনায় নীল তুরিনো৷