আইনি লড়াই থেকে পিছু হটলো গ্রামীণফোন
৪০ শতাংশের বেশি বাজার ধরে না রাখা বা এসএমপি ইস্যুতে বিটিআরসি’র একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপে আইনি লড়াই থেকে পিছু হটলো গ্রামীণফোন। আদালতে করা রিট তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে আলোচনায় বসতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরটি।
বিটিআরসিও বলছে, যে কোনো বিরোধ নিরসনে খোলা আলোচনার দরজা।
গেল ২১ জুন টেলিকম সেবায় গ্রামীণফোনের একক আধিপত্য ভাঙতে দুটি বিধি নিষেধ আরোপ করে বিটিআরসি। পহেলা জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি ছাড়া নতুন কোনো সেবা প্যাকেজ দিতে পারবে না গ্রামীণফোন। বিদ্যমান সেবা, প্যাকেজ, অফার পরিবর্তনেও কমিশনের অনুমতি লাগবে। এছাড়া গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা তিন মাসের বদলে দুই মাস পার হলেই নম্বর ঠিক রেখে নতুন অপারেটরে যেতে পারবেন।নতুন এই বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গেল ২৮ জুন আদালতে যায় গ্রামীণফোন। একইদিন কল আদান প্রদানের আয়ে গ্রামীণফোনের ভাগ কমিয়ে ১০ পয়সার পরিবর্তে ৭ পয়সা নির্ধারণ করার কথা জানায় বিটিআরসি। যা আগামী ১৬ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন কড়া অবস্থানে আইনি লড়াই থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে শীর্ষ অপারেটরটি।
এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন বলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তাদের বোঝাপড়ায় যে ঘাটতি আছে, তা গঠনমূলক ও অর্থবহ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী তারা। গ্রামীণফোনের আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
বিটিআরসি জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আমাদের অপারেটরদের জন্য আলোচনার দরজা সব সময় খোলা। আমরা যতগুলো নির্দেশনা প্রদান করে থাকি সব অপারেটরকে সময়ে সময়ে।
মুঠোফোন সেবায় একক আধিপত্য ভাঙতে ২০১৮ সালে এসএমপি নীতিমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার না রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক সংখ্যায় গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৪৬ শতাংশ।