স্থানান্তর হলেও উপজেলায় একই নামে ২ স্কুল। শিক্ষক-ছাত্রের রেষারেষিতে এমপিও পেতে অনিশ্চয়তা।
মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাথাভাঙ্গা,নওদা মটমুড়া,চরগোয়ালগ্রাম, মোমিনপুর গ্রামের আদ্যোক্ষর নিয়েৃ ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অবহেলিত জনপদে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে এলাকার শিক্ষানুরাগী কয়েকজনের আর্থিক সহযোগিতা ও জমিদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এসময় এলাকার কতিপয় শিক্ষিত বেকার যুবক তাদের বাবা মায়ের কষ্টার্র্জিত অর্থ, মেধা-মনন,শ্রম দিয়ে ৯৭ শতাংশ জমির উপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়।
প্রায় ১৭-১৮ বছর পর স্কুল পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষক মন্ডলীর পরামর্শ ও সিদ্ধান্তক্রমে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামের শেষ প্রান্ত ফাঁকা মাঠ থেকে গ্রামের মধ্যে স্থানান্তর করা হয়। শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলায় বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় আড়াইশ’ জন। এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র ডিগ্রী পাশ করে বেকারত্ব ঘুচাতে পুরাতন স্কুলটি মেরামত করে একই নামে চালাতে থাকে।
স্থানান্তরিত নতুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা জানান, স্কুল পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক মন্ডলীর সিদ্ধান্তে পূর্বের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে ৫৩ শতাংশ জায়গায় অবকাঠামো গড়ে স্কুল শুরু করি। আমাদের অবকাঠামো ও শিক্ষার মান যাচাই করে শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে স্থান পরিবর্তন ও একাডেমিক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছেন।
এই অনুমোদন বাতিলের জন্য নতুনভাবে নাম মাত্র ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়ে তোলা স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও শিক্ষকবৃন্দ গত ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ মাসের স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেন। তিনি আরও জানান, এলাকার কয়েকজন স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে ও পার্শ্ববর্তী আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের ষগযন্ত্রে ও প্রতিহিংসায় আমরা এমপিও পাচ্ছি না।
বর্তমানে একই নামে প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রের রেষারেষিতে বিদ্যালয় এমপিও পেতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
সম্প্রতি সরকারী ঘোষনানুযায়ী নন এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীদের স্কেল অনুযায়ী প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব ঘোষিত হয়। প্রদান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা তার সহকর্মীদেও সাথে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রণোদনা অর্থ নিতে আসলে অফিস সূত্রে জানতে পারেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে অজ্ঞাত কারনে ৪৪ জনের শিক্ষক তালিকা সিট হয়েছ্।
শিক্ষক মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসারকে উৎকোচ না দেয়ায় তিনি হয়রানি করতে এহেন ভূঁয়া তালিকা করেছেন।
এনিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান,অনলাইনে কোড, ও পাসওয়ার্ড এক থাকায় ২ টি প্রতিষ্ঠান বার বার শিক্ষকের নাম পোষ্ট করা হয়েছে। যেকারনে শিক্ষক শিক্ষিকার নামের তালিকা ১৪ জনের স্থলে ৪৪ জন হয়েছে। এরকম অসঙ্গতি পাওয়ায় সরকারী প্রণোদনার অর্থ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষক মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসারকে উৎকোচ না দেয়ায় তিনি হয়রানি করতে এহেন ভূঁয়া তালিকা করেছেন।একদিকে নামের তালিকা ভুল। অন্যদিকে আদালতে মামলা চলমান। সেকারনে আমি সরকারী প্রণোদনার টাকা দিতে পারিনা।