রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের কথা ভাবছে ফেসবুক
সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের কথা ভাবছে ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে ফেসবুকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চললেও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে এখনই কথা বলতে রাজি নন সংস্থার কেউই। ফেসবুকের মুখপাত্রের উদ্বৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং বিজ্ঞাপন নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যেই গত বছল টুইটার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এবং ‘হেইট স্পিস’ বা নেতিবাচক পোস্ট সরিয়ে দিচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ফেসবুক। এর জের ধরে সংস্থাটির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাম্পের বিভিন্ন সময়ে করা পোস্ট ডিলিট বা ফেক্ট চেকিং করা টুইটারের উপর ক্ষিপ্ত হয় হোয়াইট হাউস। তবে একই ধরণের পোস্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ঘোষণা দেয় ফেসবুক। তার জের ধরে সংস্থাটি থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেন বিশ্বের নামি দামি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। নানা বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত ফেসবুক ত্যাগ করা বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অন্তত এক হাজার।
ফেসবুক যদি রাজনৈতিক বক্তব্য বা বিজ্ঞাপন সরিয়ে দেয় তবে রাজনীতির মাঠে তার কেমন প্রভাব বড়বে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এমন প্রশ্নের জবাব এখনি দিতে রাজি হন নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত জো বাইডেন। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
তবে, রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া পোস্ট এবং বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। এমনটিই এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।