বীরগঞ্জে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা
রনজিৎ সরকার রাজ ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)
আর মাত্র কয়েক মাস পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তিনজন এবং বিএনপির একজন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে নির্বাচনী বিভিন্ন প্রচারণ -প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার পালা কে হচ্ছেন আসন্ন বীরগঞ্জ পৌরসভার নগরপিতা। বর্তমান মেয়র যিনি আছেন তিনিই থাকবেন, নাকি নতুনদের মধ্যে কেউ? তবে সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ - ভোট নেয়ার সময় প্রার্থীরা পৌরসভার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর আর কেউ সে কথা মনে রাখেন না,
এ জন্য এবার নির্বাচনে ভোট দেয়ার বিষয়টি সবাই গুরুত্ব সহকারে এবং প্রার্থী দেখে ভেবেচিন্তে দেয়ার কথা ভাবছেন। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলছেন, পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করলে পৌরমেয়র নয়,পৌরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করা,অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত এবং সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এবার বীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন - বীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মোঃ মোশারফ হোসেন বাবুল,
বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং গতবার পৌরসভা উপ-নির্বাচিনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে পরাজিত মোঃ নুর ইসলাম নুর, তরুণ প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত মোঃ শামীম ফিরোজ আলম ও জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সদস্য গতবার পৌর -উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন মোঃ রেজাওয়ানুল ইসলাম রিজু। বর্তমান পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন বাবুল বলেন, 'গত উপ-নির্বাচনে পৌরবাসী আমাকে ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত করেছেন।
বিগত নির্বাচনে সাধারণ মানুষকে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা প্রায় সবই করেছি। আর যতটুকু বাকি আছে তা বর্তমানে চলমান। তাছাড়া আমি নির্বাচিত হয়ে নতুন করে মাষ্টার ড্রেন, পৌরবাসীর নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট নির্মাণকাজ সহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আশা করি যেভাবে পৌরবাসীরা সাথে ছিলাম এবং আগামী দিনগুলোতেও থাকবো'।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ নুর ইসলাম নুর বলেন,গতবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলাম। আমি ভোটারদের সুখ-দুঃখে পাশেপাশে ছিলাম এবং আছি। আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণ -প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমি এবাও দলীয়ভাবে নমিনেশন নিয়ে পৌর নির্বাচন করবো বলে আশা রাখছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম ফিরোজ আলম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে সাধারণ মানুষকে সেবা করে আসছি, বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় নিয়োজিত থাকি। মেয়র হিসেবে নির্বাচন করার জন্য ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
সকলের দাবী, আমি যেনো এবার মেয়র পদে নির্বাচন করি। সাধারণ ভোটারদের নিয়েই আমি কাজ করি, তাদের কথা আমাকে শুনতেই হবে। আমার দীর্ঘ বিশাস আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশন আমাকে দেওয়া হবে। দেয়া না দোয় দলীয় ব্যাপার। আমি আগামী নির্বাচনে মেয়র হতে পারি তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকা এবং পৌরবাসীকে সঠিকভাবে সেবা দেয়া।
পৌরবাসীই সব কিছুর মালিক, আমি শুধু তাদের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। জেলা ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সম্ভাব্য বিএনপি দলীয় প্রার্থী মোঃ রেজাওয়ানুল ইসলাম রিজু বলেন, এবারও পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচন করতে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই নির্বাচনী আলোচনা করেছি, তাতে ভোটারদের অনেক সাড়া পেয়েছি। নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকে সঠিকভাবে পৌরসেবা নিশ্চিত করবো।
পৌরসভার মধ্যে যে সব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে। যে সব অসমাপ্ত কাজ আছে সেগুলো সমাপ্ত করা হবে। এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘুনিয়ে আসছে ভোটরদের কদরও তেমনি বাড়ছে। দিন কিংবা রাত দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা।