কাশীপুরে কিশোরগ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের অতিষ্ঠে এলাকাবাসী, ছিনতাই ও খুনের হিড়িক
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়নের কাশীপুর এলাকায় প্রকাশ্য চলছে মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কিছু কিশোরগ্যাং দ্বারা। ১৩-১৬ বছর বয়সী কিশোররাই প্রকাশ্য বিক্রয় করতে মাদক ।
নাম না বলাশর্তে এক মাদকব্যবসায়ী কিশোর বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের চানমারি এলাকার থেকে গাজাঁ কিনে এনে আমাদের ৬ থেকে ৭ টি গ্রুপ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করি। কিছু দিন আগে কাশীপুর আমবাগান সুচিন্তা নগরে কিশোর গ্যাং দারা একজন মারা যায়। এবং গত বুধবার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরার সময় দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার আলোকচিত্র সাংবাদিক নুরইসলাম ও এ শিকার হয়। তার সাথে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে পায় চাকু দারা আঘার করে পালায়। তারা সকলেই মোখশ পড়া ছিল।
শুধু মাদক ব্যবসা করেই কিশোর গ্যাংরা বসে নেই। কাশীপুরের দেওভোগ হাজী উজির আলী স্কু্ল ও কাশীপুর আর্দশ স্কুল, হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা কোচিং ক্লাসে যাওয়ার সময় রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের নাম জিজ্ঞাসা সহ প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয় সেই সাথে প্রস্তাবে রাজি না হলে জোর করার ও হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রী আনুশকা রহমান (ছদ্রবেশি নাম) বলে, আমি প্রতিদিন স্কুলের সামনে দিয়ে কোচিং এ আসি কিছু বখাটে ছেলে আমার প্রতিদিন পিছু নেয় তাদের চুলের এমন অবস্থা যা বলার মত নয় তাদেরকে দেখতে একদম মাদক সেবনকারীর মত দেখা যায় আমাকে কোচিংএ যাওয়ার সময় গোমাল মিয়ার ডাইংকের সামনে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বলে আমি তোমাকে পছন্দ করি তুমি আমাকে করো কিনা। আমি না করলে আমার ভাইকে ডাক দিয়ে বলেন বলে তোর বোনকে ভালো হয়ে যেতে বলিস। তো এমন হলে আমরা যাতায়াত করায় অনেক অসুবিধায় পড়ি এবং আমাদের অভিভাবক করলে আমাদেরকে কোচিং এ আসতে দিচ্ছে না কোচিং না করলে পড়া লেখায় এগুবো কি করে।
এবিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল বলেন, কাশীপুরে মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের যে উৎপত্তি হয়েছে তা প্রতিরোধ করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এবং স্কুলের মেয়েরা কোচিং পড়তে যেতে পারে না এবং স্কুলে যেতে পারে না। কিশোর গ্যাংয়ের যে ছেলেপেলে আছে তারা মেয়েদেরকে ডিস্টার্ব করছে ইভটিজিং করছে আমরা চেষ্টা করব সকলে মিলে এগুলো প্রতিরোধ করতে। আপনারা দেখুন আপনাদের ছোট বোন তারা। তারা যেন নির্বিঘ্নে স্কুলে যেতে পারে এবং আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো সকলের সহযোগিতা করলে কাশীপুরকে আবারো মাদক মুক্ত এবং ইভটিজিংমুক্ত গড়ে তুলতে পারবো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানান, কাশীপুরে মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাংয়ের যে উৎপত্তি ঘটেছে তার বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমরা খুব দ্রুত আশা করছি তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পার। কাশীপুরের হাশিমবাগ যে হত্যাকাণ্ড এবং প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে তাদের কেউ আমরা আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। যারা এ কাজ করছে তারা এলাকার লোক নয় তারা বহিরাগত মোখশ পরে তারা এ কাজ করছে। তাদেরকে চেনা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে তাই এলাকার কিছু যুবকদের নিয়েআমরা চেষ্টা করছি তাদের মুল হোতা এবং পুরো গ্যাংদের ধরার। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে প্রতিনিয়ত।