'ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আনা যায় কি না ভেবে দেখুন'
যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অধীনে আনা যায় কিনা সেটি বিবেচনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করবে তারা আর মুসলমান থাকবে না। যারা এসব কথা বলেছেন তারা এসব কথা বলে তো আর পাকিস্তান আটকাতে পারেন নাই, এ দেশে রাখতে পারেন নাই। এদের বংশধররাই আজকে বলে এটা মূর্তি, এটা প্রতিমা। এটা এই স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকারের বিরোধিতা করার জন্যই, ইসলাম প্রতিষ্ঠা এদের কোনো উদ্দেশ্যে না। এদের উদ্দেশ্যে হচ্ছে প্রকৃত অর্থে এ সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি বলেন, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইরানে কিংবা তুরস্কে যখন এরদোয়ানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয় তখন তারা বলে এসব পবিত্র। আর আমাদের জাতির পিতা, যার ভাস্কর্য আমাদের বাঙালিদের অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত। আমার কাছে মনে হচ্ছে, যারা মূর্তি এবং ভাস্কর্যের বিতর্ক শুরু করেছে এদের ওপর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, যুদ্ধাপরাধীদের প্রেতাত্মারা ভর করেছে।
'আমি সরকারের কাছে দাবি জানাবো, যারা এই ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেই হবে। আপনারা সিনিয়ররা যাচাই করে ভেবে দেখেন, যারা ভাস্কর্য ভেঙেছেন, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আনা যায় কি না।'
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, মাহফুজুর রহমান লিখন, নাসরিন সিদ্দিকা লিনা, মাসুদ আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান, অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস প্রমুখ।