গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এবার গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজউকের ২শ প্লট জালিয়াতিরও প্রমাণ মিলেছে। তার সঙ্গে যোগসাজশ ছিল রাজউক, গণপূর্ত বিভাগের কর্মীসহ জনপ্রতিনিধিদের। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গণপূর্তের দুই কর্মচারীকে। তবে রাজউকের উচ্চমান সহকারী আব্দুল মালেককে তলব করা হলেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত।
গোল্ডেন মনিরের অঢেল সম্পদের উৎস খুঁজতে গিয়ে একের পর এক বেরিয়ে আসছে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম। গত ৩ ডিসেম্বর ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মনিরের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের। এত সম্পদের উৎস কি? আর রাজউকের ২শ প্লট জালিয়াতির সূত্র কি? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে নাম এসেছে রাজউকের তিন কর্মচারী ও সিবিএ নেতা, রাজউক শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি, রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ও ডিএনসিসির সাবেক কমিশনার বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুমের নাম।
এদিন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে রাজউকের তিন কর্মচারীর হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন রাজউক শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও রাজউকের উচ্চমান সহকারী আব্দুল মালেক।
দুদক সচিব জানান, গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মনির ছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে তার স্ত্রীর ৬ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।