ভ্যাকসিন পরিবহনকালে তত্ত্বাবধান করবে টুনা মাছ কোম্পানি
করোনার ভ্যাকসিন অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রায় নিরাপদে পরিবহনের জন্য কাজ করছে আয়ারল্যান্ডের টুনা মাছ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান থার্মো কিং। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ভ্যাকসিন পরিবহনে এরই মধ্যে উন্নত করা হয়েছে কন্টেইনারগুলোর রেফ্রিজারেশন সিস্টেম।
বর্তমান আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং এত কম তাপমাত্রায় কোটি কোটি কোভিড নাইনটিন ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও মহাদেশ থেকে মহাদেশে সমুদ্র কিংবা আকাশপথে পরিবহন। গবেষণা চলছে কীভাবে নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় ভ্যাকসিন দেশে দেশে পৌঁছে দেয়া যায়। এগিয়ে এসেছে টুনা মাছ সরবরাহকারী কোম্পানি থার্মো কিং।
কোম্পানিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে জাহাজে খাদ্য সরবরাহে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, সরকার ও বিভিন্ন ফার্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ আর হাসপাতাল ক্লিনিকে সরবরাহের বিষয়ে।
থার্মো কিং ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সেস্কো ইনকালজা জানান, এ কাজের জন্য জাপানে টুনা মাছ সরবরাহকারী জাহাজগুলোকে প্রস্তুত করছেন তারা।
রেস্টুরেন্ট বা সুপার মার্কেটে সরবরাহের আগে মানসম্মত রাখতে টুনা মাছ মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা মাইনাস ৭৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটে সংরক্ষণ করতে হয়। ফাইজার আর বায়োনটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পরিবহন করার সক্ষমতা থার্মো কিংয়ের আছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
নিজেদের কন্টেইনারের রেফ্রিজারেশন সিস্টেম আরও উন্নত করছে থার্মো কিং, যেন অনেক কম তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন পরিবহন করতে পারেন তারা। বর্তমানে একটি ২০ ফুট লম্বা কন্টেইনারে ৩ লাখ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন পরিবহন করা সম্ভব হবে।
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত কম তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন পরিবহন, বিতরণ আর বিশ্বকে কোভিডমুক্ত করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। সংরক্ষণ আর পরিবহনের কারণে অনেক বেড়ে যাবে ভ্যাকসিনেশনের মূল্য। আয়ারল্যান্ডের ট্র্যান টেকনোলজিরর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অক্টোবরেই একটি মোবাইল ফ্রিজার তৈরি করেছেন তারা, যেটা আগের ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যপরিবহনের ফ্রিজারের তুলনায় ৬০ গুণ কার্যকর।
তবে অনুন্নত দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া কিংবা সেখানে সংরক্ষণের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থেকেই যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সেস্কো ইনকালজা জানান, এ জন্য কোল্ড কিউব তৈরির চেষ্টা করবেন তারা, যেগুলো কমপক্ষে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার থাকে। মডার্নাসহ অন্য ভ্যাকসিন এ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে।