‘খুনি-সন্ত্রাসী ট্রাম্পের বিদায়ে খুব খুশি ইরান’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন; তাতে খুব একটা খুশি না হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ে তেহরান অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
রুহানি বলেন, বাইডেনের আগমনে আমরা খুব একটা উচ্ছ্বসিত নই। তবে ট্রাম্পের বিদায়ে আমরা অনেক খুশি।
‘এই ব্যক্তি বহু নৃশংস কর্মকাণ্ড করেছেন। সে একজন খুনি, একজন সন্ত্রাসী। আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমও তার নোংরামির হাত থেকে মুক্তি পায়নি। এতটা নৈতিকতা, মানবিকতা বর্জিত সে।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে তেহরানের ভ্যাকসিন ক্রয়ের সব চেষ্টা সক্রিয়ভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়ার ওই চুক্তি করে দেশটি। চুক্তি থেকে সরে গিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।
বাইডেন বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে ফেরাবেন; যদি ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলে। এছাড়া, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির কার্যক্রম আলোচনায় যুক্ত করার শর্ত জুড়ে দেন তিনি। তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
‘২০১৫ সাল থেকে ইরানের এখন বেশি শক্তিশালী’
আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাইডেনের সমঝোতা প্রস্তাবের বিষয়ে রুহানি বলেন, ইরান অনেক চাপে রয়েছে। তবে ২০১৫ সালের অবস্থা আর বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। পরমাণু চুক্তি চূড়ান্তের সময় থেকে বর্তমান পরিস্থিতি বেশি আমাদের অনুকূলে।
রুহানি যোগ করেন, ২০১৫ সালে ইরান পেট্রোল, জ্বালানি, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানি করে। আর এখন রফতানি করে।
‘আমাদের আজকের শক্তি সে সময়ের সঙ্গে তুলনা করাও বোকামি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, সামরিক শক্তি এবং পরমাণু কার্যক্রম বর্তমানে অনেক বেশি শক্তিশালী।’ বলেন রুহানি।