বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করলেন কাদের
বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।
জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশে আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সরকার বিভিন্ন রায়ের মধ্য দিয়ে নাকি আদালতকে ব্যবহার করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন ও আদালতকে ঘিরে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাননি কেন?
সরকার দেশে বিএনপি শূন্য করতে চায়, এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অভিযোগ অবান্তর, সরকার বিএপিকে শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক। বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী জানান, একদলীয় কোনো চর্চা সরকারের কাজে ও মনস্তত্ত্বে নেই, সরকার জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, সমৃদ্ধ আগামী গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দায়িত্বশীল বিরোধী দল।
জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাসনির্ভরতা যাদের আন্দোলনের চালিকাশক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ আর সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়, প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ব্লুমবার্গ টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন এবং করোনা-পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির হালচাল নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলা করে আর্থসামাজিক অবস্থা ধরে রেখে বসবাস উপযোগী ধারা বজায় রাখতে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে এখন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন কোভিড সহনশীলতা র্যাংকিংয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের এই উন্নয়ন ও অর্জনের সংবাদ বিএনপি চোখে দেখে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের।