বিশ্ব ইজতেমা এবার নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না
প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।
প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত। চলতি জানুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার এবারের বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে বিশ্ব ইজতেমা করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ। এ বছর ইজতেমার প্রথম পর্ব ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল।
বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা করোনা পরিস্থিতি দেখব। এরপর চিন্তা করব। অবস্থার উন্নতি হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা তারিখ ঠিক করব।’
ফরিদুল হক খান আরো বলেন, ‘এত বড় একটা আয়োজন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন আসে। এসব দেখার বিষয় আছে। স্বাস্থ্যের বিষয়টা অত্যন্ত জরুরি।’
তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম পক্ষের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল বলেন, ‘ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। বিশ্ব ইজতেমা শুধু বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে হয় না, অন্যান্য দেশ থেকে লোকজন আসে বলেই এটি বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে লোকজন যাতে আসতে পারে—এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলে ইজতেমা যাতে করা যায়, আমরা সে বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। সরকার যেভাবে ভালো মনে করে সেভাবেই করবে।’