সিসি ক্যামেরাই সিএমপির হাতিয়ার, ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং ঠেকাতে
চট্টগ্রামে ছিনতাই আর কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। ছিনতাইপ্রবণ এবং কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডার জন্য চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে লাগানো হচ্ছে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে নজরদারি এড়াতে কিশোর গ্যাংগ চিহ্নিত এলাকা এড়িয়ে চলছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
রহমতগঞ্জের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার ছিনতাইপ্রবণ স্পট হিসেবে চিহ্নিত নগরীর আন্দরকিল্লার মোড় থেকে দেওয়ান বাজার হয়ে চন্দনপুরা পুরো এলাকা আসছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, শুধু নগরীর কোতোয়ালি থানায় বসছে এক হাজার ক্যামেরা। থাকছে আইপি ক্যামেরাও, যার মাধ্যমে থানা অফিসে বসে মোবাইল মাধ্যমে তদারকি করবেন তারা।
তবে অপরাধ দমনের পাশাপাশি কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে সফলতা পেয়েছে বাকলিয়া এলাকার স্থানীয়রা। পুলিশের নির্দেশনায় তারাও নিজ নিজ এলাকায় ক্যামেরা লাগিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত করছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের স্পটগুলো চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় ক্যামেরাগুলো লাগানো হচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয়রাও নিজ উদ্যোগে ক্যামেরা স্থাপন করছেন। এতে অপরাধপ্রবণতাও কমে গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েকটি পদ্ধতিতে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে আইপি ক্যামেরা হওয়ায় কর্মকর্তারা মোবাইল ফোনেও দেখছেন এলাকার দৃশ্য।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার এস এম মেহেদী হাসান জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তদারকি করার সুযোগ থাকায়, যখন যার চোখে কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ছে কিংবা অতিরিক্ত আড্ডাবাজি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফোর্স পাঠিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে নগরীর কোতোয়ালি, চকবাজার, সদরঘাট এবং বাকলিয়া এলাকায় ১ হাজার ক্যামেরা স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’ ক্যামেরা সক্রিয় করা হয়েছে। আর এসব ক্যামেরার মাধ্যমে অন্তত ১০টি অপরাধের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।