রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সু চির প্রধান সহযোগী গ্রেফতার
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল অং সান সু চির অন্যতম সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতা উইন হাতেইন শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার হন।
সু চির দল এনলডি জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনে তার বোনের বাসায় রাত্রিযাপন করছিলেন। ওখান থেকেই তাকে ধরে নাইপিদোর পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হয়েছে। ৭৯ বছর বয়সী সু চির এই সহযোগীকে এর আগেও দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতে হয়।
উইন হাতেইনকে সু চির ডান হাত হিসেবেও বিবেচিত। গ্রেফতারের আগে এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, সামরিক অভ্যুত্থান কোনো জ্ঞানসম্পন্ন কাজ নয়, সামরিক শাসনে দেশকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে, এর বিরুদ্ধে জনতাকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখনই সময়।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির তথ্যমতে, গত সোমবার সামরিক অভুত্থ্যানের পর এ পর্যন্ত ১৩০ জনের বেশি রাজনৈতিক ও আইনপ্রণেতাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ অবস্থায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি দিন দিন আরো নাজুকের দিকে যাচ্ছে। সামারিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ভেতর ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে, অনেককে রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতেও দেখা গেছে। শুধু সু চির সহযোগীদেরই আটক করা হচ্ছে না, দেশটির অনেক জায়গায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুবই বিরক্ত মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে। সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই ক্ষমতা ছেড়ে রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত মনে করছেন বাইডেন।
গত বছরের নভেম্বরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পায় সু চির দল এনএলডি। নির্বাচনে ভুরাডবি হয় সেনাসমর্থিত দলের। সু চির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলে পুনরায় নির্বাচনের আহ্বান জানান সেনাবাহিনী। এমকি ক্ষমতা নিয়ে চলে বনিবনা না হওয়ায় গত সোমবার ভোরে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চিসহ অনেক আইন প্রণেতাকে গ্রেফতার করে সেনারা। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারো মিয়ানমার জান্তা সরকারের অধীনে ফিরে গেল। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞারও হুমকি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।