গাংনীর গাঁড়াবাড়ীয়াতে জমির সীমানা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ স্কুলের ছাত্রীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম
এম এ লিংকন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীর পল্লী গাঁড়াবাড়ীয়া গ্রামে জমির সীমানা বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে স্কুলের ছাত্রীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়ে বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জমি জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া (হাটপাড়া) গ্রামে প্রতিপক্ষ মৃত বদরউদ্দীনের ছেলে আজমত, হ্যাবা ছেলে শফিকুল, হকছদ্দীনের ছেলে উম্মত আলী, শাহীনের ছেলে অন্তর, ইন্নাছের ছেলে সোহরাব জমি জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছেবলে অভিযোগ পাওয়া গেছ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের হাট পাড়ায় ক্রয় সূত্রে ছকিনা খাতুন সাড়ে ৩ শতক জমির মালিক্। সে পার্শ্ববর্তী জমির মালিককে অবহিত না করে জোরপূর্বক সীমানা বেড়া দেয। পার্শ্ববর্তী আইলের জমির মালিক হারুণর রশীদ (৭৫) জমিতে বেড়া দিতে নিষেধ করলে ছকিনা খাতুন প্রথমতঃ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি সোটা, ধারালো অস্ত্র, হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা নিয়ে ঘাটপাড়ার হারুণর রশীদের উপর হামলা চালালে তার ছেলে আবু তালেব ((৪৫) ঠেকাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে বিশারতের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুবর্ণা (১৬) চাচাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় সুবর্ণার মা পারুলা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা, গলার সোনার চেইন, কানের দুল আইফোন ছিনিয়ে নেয়।
আহত সুবর্নার বাবা বিশারত আলী জানান, সংঘর্ষে মোস্তফার ছেলে বিপ্লব, কেরামতের ছেলে বাদল, মখলেছের ছেলে আসাদ, হ্যাবার ছেলে সুজন ও জড়িত ছিল। আমার স্কুলপড়–য়া মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে।আমার মেয়ের গলা থেকে চেইন, সোনার দুল ও দামী আইফোন ছিনিয়ে নিয়েছ্। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে,জমির পরিমান সাড়ে ৩ শতাংশ নালিশী জমি।মালিকানা সূত্রে জমি যথারীতি হারুণ অর রশীদ ভোগদখল করে আসছিলেন।
এনিয়ে মকলেছের স্ত্রী ছকিনা জানান, আমি গাড়াবাড়ীয়া হাটপাড়ায় অনেক কষ্ট করে সাড়ে ৩ কাঠা জমি ক্রয় করেছি।গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি জমির সীমানাতে বেড়া দিতে গেলে আমাকে বাধা দেয় এবং বেড়া তুলে দেয়।এখবর আমার পরিবারকে জানালে তারা সংষর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষরা আমাকেও মারপিট করেছে।আমরা গাংনী থানায় মামলার প্রস্থতি নিচ্ছি।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।শৃ্খংলা রক্ষায় আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি।সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।