১০ বছর বয়স মেয়েকে যৌন হয়রানি! কারাগারে বাবা
মেয়ের বয়স ১০ বছর। নানা অজুহাতে মাসের পর মাস যৌন হয়রানি করে আসছিলেন নিজ বাবা। অবশেষে মায়ের চোখে পড়লে মেয়েকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবুও বাবার রক্তচক্ষু মেয়ের থেকে সরেনি।
শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেই আবার মেয়ের গায়ে হাত দেন তিনি। মেয়ের চিৎকার শুনে মা দৌঁড়ে গিয়ে রক্ষা করেন। অবশেষে স্ত্রী মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে পুলিশ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে লম্পট বাবা মো. হোসেনকে।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে স্ত্রী নিজেই স্বামীর বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
হোসেন দত্তপাড়ার হোসেনপুর গ্রামের মৃত সফিউল্যার ছেলে। তিনি নোয়াখালীতে ভাঙারি ব্যবসা করতেন। এজন্য তিনি নোয়াখালীর অনন্তপুর টিভি সেন্টার সংলগ্ন একটি বাসায় স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই মেয়েকে যৌন হয়রানি করতে দেখে ফেলেন তার স্ত্রী। পরে নানার (মায়ের বাবার বাড়ি) বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে মেয়েকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন অসহায় মা।
এজাহার সূত্র জানায়, নিজ মেয়েকে মাসের পর মাস স্ত্রীর অগোচরে হোসেন বিভিন্ন অজুহাতে যৌন হয়রানি করে আসছিল। প্রায় ৪ মাস আগে ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে মেয়েকে নানার (মায়ের বাবার বাড়ি) বাড়ি পাঠিয়ে দেয় মা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হোসেনকে নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে হোসেনপুর বেড়াতে আসেন। তাদের সন্তান আগ থেকেই ওই বাড়িতে ছিল। মেয়েকে একা পেয়ে আবারও হোসেন গায়ে হাত দেয়।
চিৎকার শুনে মা দৌঁড়ে গিয়ে মেয়েকে রক্ষা করেন। মেয়েকে নিজ হেফাজতে রাখতে চাইলে হোসেন জোর করে নোয়াখালী ভাড়া বাসায় নিয়ে যেতে চায়। ঘটনাটি স্ত্রী তার আত্মীয়-স্বজনদের অবহিত করলে সবাই থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরপরই হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী বলেন, আমার স্বামী মাসের পর মাস মেয়েকে যৌন হয়রানি করতেন। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে মেয়েকে আমি আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু তাতেও রক্ষা হলো না। এজন্য বাধ্য হয়ে মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, মেয়েকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।