দারিদ্র্য বিমোচনে সারাবিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র’
দারিদ্র্য বিমোচনে সারাবিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মতামতধর্মী এক লেখায় এমন মন্তব্য করা হয়েছে। যাতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, শিশুদের উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণে বাংলাদেশের মতো করে নীতি সাজাতে পারে জো বাইডেন প্রশাসন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আর ক্ষমতাশীল দেশ যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের কলঙ্ক শিশু দারিদ্র। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে আগামী শুক্রবারই (১২ মার্চ) এক লাখ নব্বই হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজে সই করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলা হচ্ছে,
কোন রকম বাধা ছাড়া নিয়মিত ফেডারেল সরকার এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করলে দেশটির শিশু দারিদ্রের হার অর্ধেকে কমে আসতে পারে। দেশটিতে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী এক কোটি একত্রিশ লাখ শিশু আর সাতান্ন লাখ কিশোর-কিশোরির মধ্যে অর্ধেকের আয়ের অসমতা দূর করতে আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা মার্কিনদের।
যদিও বাইডেন সরকারের পদক্ষেপ কতোটা কার্যকর হবে তা নিয়ে করছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা। বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন সরকারের জন্য দারিদ্র বিমোচনের এক বড় উদাহরণ হতে বাংলাদেশ। মতামত ভিত্তিক ওই প্রতিবেদনে প্রতিপাদ্য করা হয় দারিদ্র দূরীকরণে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা।
বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরেই গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ, বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানামাত্রিক বাধা পেরিয়ে উন্নয়নশীল অনেক দেশকেই ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে,
করোনা শুরুর আগে গত চার বছর ধরে প্রতি বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ থেকে ৮ শতাংশ, যা চীনের চেয়েও বেশি। আর গত ১৫ বছরে দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্রের মতো অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। যা সব দেশের জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণা যোগানোর মতো গল্প।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শিশুদের শিক্ষা আর নারীদের কর্মমূখীকরণে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক অগ্রগতি দেখিয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত একটি দেশে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন শিশু হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোয় না।
আওয়ামী লীগ সরকারের এমন সফলতার কথা তুলে ধরে মার্কিন শিশুদের দারিদ্র ঘোচাতে একই পদ্ধতিতে এগোনোর পরামর্শ দেয়া হয় ওই প্রতিবেদনে।