করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল প্রয়োজনে দেশে কারফিউ জারির পরামর্শ
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল এখন অনেক কিছু। রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দিন যেন হাজির হচ্ছে আতঙ্ক নিয়ে। এরপরও হাটবাজার-পথঘাট কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি মানার এমন অবহেলা দেখে বারবারই সতর্ক করে আসছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেউ যেন কানে তোলার নেই। ফলশ্রুতি করোনা ভাইরাসের দাপট। এর মধ্যে কাগুজে লকডাউনের শুরুতে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস আর পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া খোলা এখন সবই।
প্রশ্ন উঠেছে, তাই এ ধরনের লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে। এদিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় মতামত এসেছে, অন্তত ২ সপ্তাহ যাতে পূর্ণ লকডাউন দেয়া হয়। সেখানে শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের ঘোষণা এসেছে। তবে কমপক্ষে ২ সপ্তাহ লকডাউন দেয়ার পাশাপাশি সংক্রমণপ্রবণ ৬টি জেলায় সেটা জোরালো করার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
সময় নিউজকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণপ্রবন এলাকাতে কঠোর লকডাউন দেওয়া প্রয়োজন, প্রয়োজনে কারফিউ জারি করে সংক্রমণটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদি লকডাউনে আমরা যাচ্ছি না, যেমন ৭ দিন করে আবার বাদ দিয়ে ৭ দিন-১৫ দিন এভাবে বলা হচ্ছে। এ লকডাউন নিয়ে প্রশ্নই করা যায় যে, তাতে কি খুব করে করোনার ঝুঁকি কমবে। একসঙ্গে দিলে হয়তো ঝুঁকিটা কমানো যেত।
বাঁচতে হলে দ্রুত কাটতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শেকল, এক্ষেত্রে জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ মেনে দুই সপ্তাহ লকডাউনে যাওয়ার ওপর জোর দেন ড. নাজনীন আহমেদ।
তিনি বলেন, এর মধ্যে অধিক সংক্রমণ প্রবণ ৬ জেলায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। তিনি মনে করেন, নামকাওয়াস্তে নয়, লকডাউন হতে হবে সমন্বিত।
নতুন লকডাউনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর কতটা নিষেধাজ্ঞা থাকবে সেটি জানা যাবে রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি বৈঠকের পর।
এদিকে শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন। লকডাউনের বিষয়ে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।