দূঃসময়ের কান্ডারী রাজপথ কাঁপানো সৈনিক আসাদুজ্জামান খান জনি।
বি এ রায়হান,গাজীপুর:
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, দূর সময়ে রাজপথ কাপানো সৈনিক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান জনি। শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দাড়প্রান্তে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গন্ডী শেষ করে, উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে-তারুণ্য আর মেধার ব্যবহার করে বন্ধুরা যখন কর্মজীবন-সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তখন ছাত্রলীগের সৈনিক আসাদুজ্জামান খান জনি সংসার পেতেছিলেন রাজপথে, মাটিও মানুষের নেতা ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপি’র অনুপ্রেরণায় ও দিক নির্দেশনায় পথচলা শুরু হয় ছাত্রলীগে ১৯৯৬ সালে।
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে ছাত্র রাজনীতির স্বীকৃতি হিসেবে ২০০০ সালে থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সাবেক ৬নং ওয়ার্ড বর্তমানে টঙ্গীর ৫৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এছাড়াও ২০০৪ সালে থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান জনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ভোট কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর সকল প্রকার ভয়-ভীতি পুলিশি নির্যাতন উপেক্ষা করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র স্যারের নির্দেশে তৎকালীন টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সফল সভাপতি আমান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জীবনের মায়া পরিহার করে রাজপথে বরাবরই আন্দোলন করেছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান জনি বলেন, ইতিহাসের নৃশংস হত্যা কান্ডের শিকার ২০০৪ সালে মাটি ও মানুষের নেতা গাজীপুর গর্ব ভাওয়াল রত্ম বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপি’র স্যার আমার চোখের সামনেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে লুটিয়ে পরেন মাটিতে। যা আজও আমাকে প্রতিটি মুহুত ব্যথিত করে।
হত্যা মঞ্চ থেকে শপথ নিয়ে ছিলাম, স্যারের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। আমি তখন প্রিয় স্যারের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দায়েরকৃত মিথ্যা দ্রুত বিচার মামলায় পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষাপেতে ভাসমান কচুরিপানার মত এ-ডেরা থেকে অন্য ডেরায় ফেরারি জীবন কাটাই। এরপর তথাকথিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চক্রান্তের বেড়াজালে কারাবন্দি হলেন আওয়ামীলীগের কর্ণধার, দেশরতœ, প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যারের সুযোগ্য সন্তান জাহিদ আহসান রাসেল এবং জননেতা আজমত উল্লাহ খানের নেতৃত্বে উত্তাল রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে লড়াই-সংগ্রামে নেতৃবৃন্দের সাথে ছিলাম।
দুঃখ ভরাক্লান্ত মনে তিনি আরো বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের মিছিলে সমাবেশে প্রতিনিয়ত চিন্তা -চেতনায় দলের সুদিন উদ্ধারে, দূরসময়ে নেমে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান জনি অন্য দশ জনের মত নিজেকে আর গুছিয়ে নিতে পারেননি। বসন্তের কুকিলদের মত সুদিনে জন্ম নেওয়া অনেক নেতাদের ভীড়ে আমি হয়তোবা নেই। তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এই টুকুই আমার শান্তনা প্রাপ্তি। আমি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখিনি।
দেখেছি প্রিয় নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র এর ইস্পাত কঠিন আদর্শ আপোষহীন নেতৃত্ব। ক্ষমতার সুদিনে আজ সবাই মুজিব সৈনিক। রাজপথ কাপানো নেতাদের যোগ্যতা অভিজ্ঞতা পরিহার করে গনহারে মানুষ এখন আওয়ামী লীগ বনে গেছে। সবাই এখন নৌকার কান্ডারী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশরতœ শেখ হাসিনা জয়ধ্বনী দিতে দিতে যারা মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন, দুঃসময়ে এত নেতা কোথায় ছিল? এরা কি সত্যি মুজিব আদর্শের সৈনিক নাকি ছুঁচো,কম্বল কাটা দাঁতাল ইঁদুর নাকি দলীয় হাইব্রিড।
আমি আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাক দেশ, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।