টঙ্গীতে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
টঙ্গীতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল সরকার (১৪)কে অপহরণ ও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যা করে তুরাগ নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া সেই খুনি আতাউল হোসেন (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ।
গত ১০ এপ্রিল শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিন বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ইলতুৎ মিশ এর নির্দেশনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর কামাড়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ১২ এপ্রিল সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম।
গ্রেফতারকৃত আসামি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান।
পুলিশ জানান, গত ১৯/০৩/২০২১তারিখ সন্ধ্যায় টঙ্গী তুরাগ নদীর কিনারায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় একটি লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং-২৫। মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত ব্যাক্তির পরিচয় জানার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটনসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নিহতের ছবি ছড়িয়ে দেয়া। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে জনসমাগমের স্থানে নিহতের ছবি প্রিন্ট করে টানিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য এই ঘটনায় ডিএমপির তুরাগ থানায় একটা নিখোঁজ জিডি হয়। জিডি নাম্বার ৯১১ তারিখ ১৮/৩/২০২১। হারানো জিডির সূত্র ধরে টঙ্গী পশ্চিম থানার ইয়াসিন আরাফাতসহ একটি টিম নিহতের অস্থায়ী ঠিকানা কামারপাড়ায় উপস্থিত হয়ে নিহতের বাবা-মাকে ছবি প্রদর্শন করে, নিহতের জামা কাপড় দেখিয়ে, নিহত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। নিহত ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার ধানঘরা গ্রামের নূর নবী সরকারের ছেলে ইসমাইল হোসেন। সে ঢাকা কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।
এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম জানান, আসামি আতাউল নিহত ব্যাক্তির বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ইসমাইল হোসেনকে খুন করে। গ্রেফতারকৃত আতাউর ঘটনার সাথে জড়িত বলে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।