অপহরণ নয় ষড়যন্ত্র জনমনে আতঙ্ক; সুষ্ঠ তদন্তের দাবী।
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। টঙ্গীর দেওড়া কাঁঠালদিয়া এলাকায় মামুন স্যারের বিল্ডিং এ কাজ করি। গত ১৪ এপ্রিল সকাল বেলা মামুন স্যারের বাসায় দেখা করে সাইডে কাজে যাওয়ার পথে বালুর মাঠ একটি মোটরসাইকেলে দুইজন লোক এসে বলে মামুন স্যার বলছে অন্য একটা কাজের সাইড দেখিয়ে নিয়ে আসার জন্য। আমি তাদের কথা বিশ্বাস করে মামুন স্যারের কথা বলাতে মোটরসাইকেলে উঠে বসি। এক পর্যায় তারা আমাকে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে হাত, পা বেধে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এমনকি তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়া কুচি কুচি করে কেটে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। এক পর্যায় আমাকে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় হাত, পা বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। কোন এক সময় পথচারীরা আমার বাধন খুলে দেয়। এরপর আমি পায়ে হেঁটে বাড়িতে এসে পৌঁছাই। এমনটাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানালেন অপহরণ হওয়া রাজমিস্ত্রি আব্দুল জলিল। অপহরণ করে পরিবারের কাছে টাকা দাবী করেছে কি না এ বিষয় কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
অপরদিকে আব্দুল জলিলের স্ত্রী মাসুদা বেগম গত ১৪ এপ্রিল টঙ্গী পশ্চিম থানায় অপহরণমর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে স্থানীয় ঠিকাদার নাদিম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী নাদিম হায়দারকে দায়ী করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল জলিল এর স্ত্রী মাসুদা বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মামুন স্যার আমাদেরকে বলেছে অভিযোগ করতে। তার কথা মোতাবেক অভিযোগ করেছি।
অপহরণকৃত আব্দুল জলিল জানান, নাদিম এন্টারপ্রাইজের সাথে আমার কোন ধরনের শত্রুতা নেই। এমনকি এ ধরনের ঘটনা তাদের দ্বারা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
পুরো বিষয়টি আসলে কি অপহরণ, নাকি অপহণের নাটক সাজিয়ে একটি মহলকে দোষি সাব্যস্ত করে হয়রানি করার অপচেষ্টা। ঘটনা যাই হউক না কেন, যদি কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে, তাহলেতো অভিযোগের সূত্র ধরে হয়রানির স্বীকার হতো অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নাদিম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ও সকল কর্মচারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবী ঘটনার সুস্থ্য তদন্ত করে আসল রহস্য উন্মোচন করার।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহ আলম জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।