নোয়াখালীতে চলছে ঢিলে ঢালা লকডাউনের তৃতীয় দিন, ৪০ মামলায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা
নুরুন্নবী নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউনের তৃতীয় দিনেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা যায়নি। শহরের বেশির ভাগ সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। লকডাউন অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সকালে জেলা শহর মাইজদী ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দোকান পাট, কাঁচা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ রয়েছে। কয়েকটি সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না গেলেও অভ্যন্তরীন সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা গেছে। শর্তসাপেক্ষে দুই জন যাত্রী নিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলার কথা থাকলেও বিধিনিষেধ মানছে কেউই। শহরের মূল সড়ক ছাড়া ভিতরের সড়কগুলোতে দেখা গেছে সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো ৪-৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে, এতে পৌর এলাকায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে মানুষেকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। অন্যদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৪০টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়ন এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ বিশেষ লকডাউন ৫ জুন ভোর ৬টা থেকে ১১জুন রাত ১২ট পর্যন্ত থাকবে।