৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ, ৫ লাখ টাকা জরিমানা সাকিবের
সাকিব আল হাসানের শাস্তি ঘোষণা নিয়ে একের পর এক নাটক। বিকেলে একবার মোহামেডানের এক কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়, চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। এরপর বলা হয়, না ওটা সত্যি নয়। পরে জানানো হয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে সিসিডিএম। কিন্তু সেটাও বাতিল করা হয়। অবশেষে সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজুমল হাসান পাপনের গুলশানের বাসভবনে এক অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। সেখানেই ঘোষণা করা হয়, সাকিব আল হাসান তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ। সঙ্গে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা। সাকিবকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সাথে ৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন ম্যাচ রেফারি মোর্শেদ চৌধুরী। সাকিবও সে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এ কারণে এ ঘটনায় আর কোনো শুনানি অনুষ্ঠিত হবে না। গতকাল শুক্রবার (১২ জুন) ডিপিএলে মুখোমুখি হয় দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী ও মেহামেডান। সাকিব আল হাসানের কাণ্ডে ওই ম্যাচ এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসান। লাথি দিয়ে কাছের স্টাম্প ভেঙে ফেললেন। মুখোমুখি হয়ে তর্কে জড়ান আম্পায়ারের। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে আম্পায়ারের সামনের থাকা তিন স্টাম্পই তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। এখানেই শেষ নয়। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান সাকিব। মাঠ ছাড়ার পথে কিছু একটা বলছিলেন সাকিব। খালেদ মাহমুদ তেড়ে যান তাতে। পরে দুই দলের ক্রিকেটাররা এসে দুজনকে দুই ড্রেসিংরুমের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন সাকিব। আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়েও ক্ষমা চেয়েছেন। দাবি করেছেন, মাঠ ছাড়ার সময় আবাহনীর কয়েজন দর্শক আপত্তিকর কথা বলেছেন তাকে। ফলে তাদেরকেই কিছু একটা বলেছেন তিনি, আবাহনী দলের কাউকে নয়।