যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে তলানিতে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরে মানব পাচার নির্মূলের ন্যূনতম শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বিগত দিনের বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার অপরাধের বিচারে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টের তালিকায় তৃতীয় স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে মালয়েশিয়াকে। পাশাপাশি আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বার্মা (মিয়ানমার), চীন, কোমোরোস, কিউবা, ইরিত্রিয়া, গিনি-বিসাউ, ইরান, উত্তর কোরিয়া, নিকারাগুয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনিজুয়েলাসহ মোট ১৭টি দেশকে সর্বনিম্ন তৃতীয় স্তরে নামিয়ে আনা হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ২০২১ সালের ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) প্রতিবেদনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক টেলিকনফারেন্সে পররাষ্ট্র বিভাগের পাচার অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কারি জনস্টন বলেন, দেশটির অভ্যন্তরে মানব পাচার নির্মূলের ন্যূনতম শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিশেষ করে দেশটির পাম ওয়েল, কৃষি বাগান, নির্মাণ স্থল, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক এবং রাবার গ্লাবস পণ্য উৎপাদন খাতে নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ৫৭ টি তদন্ত শুরু করেছিল, কিন্তু তারা এই অভিযোগগুলিকে সম্ভাব্য পাচার অপরাধ হিসেবে তদন্ত করেনি। এছাড়াও জোর করে শ্রমিকদের কাজ করিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার সব ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি মানব পাচারের মানদণ্ডে নজরদারি করেনি, যা অজানা সংখ্যক সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার আওতার বাইরে রেখেছে। মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার ব্যক্তিদের অধিকাংশই অভিবাসী শ্রমিক, যার মধ্যে আনুমানিক ২০ লাখ লোক নথিভুক্ত এবং আরও বেশি সংখ্যক নথিভুক্ত নয়।