ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে মিরকাদিমের ‘ধবল গাই’
পুরান ঢাকার ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে মিরকাদিমের ধবল গাই। প্রাচীন রীতি ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিশেষ যত্নে লালন-পালন করা হচ্ছে এই গাইগরু। কোরবানি সামনে রেখে এই গাইয়ের পরিচর্যা নিয়ে খামারিরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। মিরকাদিমের ধবল গাই। কোরবানিতে পুরান ঢাকার ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই গাই। ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জে তথা বিক্রমপুরের মিরকাদিমের খামারে বিশেষভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে এই ধবল গাই। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে গাইগুলোর পরিচর্যা। মিরকাদিমের গাইগরুর চোখের পাপড়ি, শিং, নাকের সামনের অংশ সাদা, পায়ের খুর সাদা, লেজের পশম সাদা, আর সারা শরীর তো সাদাই। এছাড়া দুশো বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখা এ গাইয়ে আকর্ষণের অন্য কারণও রয়েছে। শুধু খইল, বুট, খেসারি, গম ও মসুর ডালের ভুসি, রাব-গুড় খেতে দেওয়া হয়। সঙ্গে ভুট্টা চূর্ণ করে দেওয়া হয়। কোনো ঘাস খাওয়ানো হয় না। তাই মাংসে আঁশ কম থাকে। মাংস নরম ও তেলতেলে হয়। অবশ্য পালনে খরচ হয় বেশি। এক খামারি জানান, মিরকাদিমের গরুর মধ্যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে হরিয়ানার গরুর এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। এই গরু মিরকাদিমের স্থানীয় একটি বিশেষ জাত। জাতটির বিলুপ্তি ঠেকাতে এবং বংশ বৃদ্ধি করতে জাতীয়ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, ভবিষ্যতে এ গরুর সিমেন সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে আমরা গরুগুলোকে পরবর্তীতে সংখ্যায় বাড়াতে পারবো। এর একটি গাইয়ের দাম হাকা হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।