টিকা দেওয়ার শর্তে সারা দেশে দোকানপাট খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধ রয়েছে মার্কেট ও দোকানপাট। তবে আগামী ১১ আগস্ট থেকে করোনার টিকা দেওয়ার শর্তে সারা দেশে দোকানপাট খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কঠোর বিধিনিষেধের বিষয়ে সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। এর আগে সোমবার (২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সৃত্রে জানা যায়, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে আগের মতো কঠোর হবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলাপ-আলোচনার পর করণীয় নির্ধারণের বিষয় চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর আগে বলা হয়, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৫ তারিখের পর কী হবে সেই সিদ্ধান্ত আমরা দেব। তবে লকডাউন কী পরিসরে থাকবে তা আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। চলমান এই লকডাউন কঠোরতম ছিল সে অনুযায়ী আমাদের সবকিছুই বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন তো আর সেটি থাকছে না। এখন স্বল্প পরিসরে খোলা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিল্প-কারখানা খোলা হচ্ছে। এদিকে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেওয়ায় ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।