আমাকে ভালোবেসো না কুকুরছানা’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে সদ্য মুক্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে উপস্থিত লোকজনকে একটি লেখা প্রদর্শন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। যাতে ইংরেজিতে লেখা ছিলো- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’! যেটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘আমাকে ভালোবেসো না কুকুরছানা’। তার ডান হাতের তালুতে এই লেখাটি কার উদ্দেশ্য লিখেছেন? সেটি এখনও জানা যায়নি। তবে এটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। লেখাটি মেহেদী দিয়ে লেখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, তার বিপদে যে বা যারা দূরত্ব বজায় রেখেছেন বা অসহযোগিতা করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যেই পরীমণি এই লেখাটি প্রদর্শন করেছেন। কারামুক্ত হওয়ার পর হাতের এই লেখা প্রদর্শন করতে করতে তিনি বনানীর সেই বাসাতেই যাচ্ছেন, যে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মুক্তি পাওয়ার পর স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে ওই ভাড়া বাসার দিকে রওনা হন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমণির আইনজীবী প্যানেলের সদস্য নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। তিনিও এই নায়িকার সঙ্গে রয়েছেন। কারা ফটক থেকে একটি সাদা গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় পরীমণিকে। পরীমণি সাদা পোশাকে ছিলেন এবং তাকে বহনকারী গাড়ি থেকে একটু বের হয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে সেলফি তুলেতে দেখা যায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরীমণির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছানোয় সেদিন তার মুক্তি মেলেনি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পরীমণিকে নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ পরিবারের একাধিক সদস্য। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কাশিমপুর কারাগারের ফটকে অপেক্ষার করছিরেন পরীমণির স্বজনরা। তাদের সঙ্গে পরীমণির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পরীমণির জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তিনি পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন পরীমণির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন। গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীর বাসায় প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরীমণি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই দিনই একই সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।