তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া বিকল্প দেখছে না ইইউ
আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানকে কখনোই ইতিবাচক হিসেবে নিতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সেনারা দেশটি ছাড়ার পর এবার ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছে ২৭ জাতির জোটটি। এমন আভাসই পাওয়া গেছে গতকাল মঙ্গলবার। এদিন স্ট্রসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। কাবুলে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর কূটনৈতিক উপস্থিতি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে জোসেপ বোরেল বলেন, এ ক্ষেত্রে সমন্বয় করবে ব্রাসেলস। তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া নয়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলছি। তবে কথা বলে, আলোচনা করে সম্ভব হলে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ইউরোপীয় কাউন্সিল একমত হয়েছে যে, তালেবান সরকারের আচরণের ওপর এই আলোচনার ধরণ ও মাত্রা নির্ভর করবে। বোরেল আরো বলেন, যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হয় তাহলে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কাবুলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।