বিএনপি আর কখনো কোনোমতেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না :ফখরুল
বিএনপি আর কখনো কোনোমতেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। মানুষ ভোট দিতে চায়, নিজের ভোট নিজে দিতে চায়, যাকে খুশি তাকে দিতে চায় মন্তব্য করে প্রধান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতন অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য এই জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে। করোনাকালীন সময় সরকারের ব্যর্থতার কারণে আজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর। দলীয় লোকজন ছাড়া করোনাকালীন সময় সরকার ঘোষিত আর্থিক অনুদান কেউ পায়নি। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে কোনা নির্বাচন কমিশন হোক, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার না থাকলে নির্বাচন কমিশন যতই নিরপেক্ষ হোক, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন হলে গতবারের অভিজ্ঞতটা ভলো নয়, হুদা কমিশন অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি দলীয় ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। এরপর তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তাহলে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে ও এ রকম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ওই ধরনের কোনো নির্বাচন আর হবে না, গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০১৪-১৮, এর মত নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এখনো পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়নি। এমনকি কেউ এটি সহজভাবে মেনে নেয়নি। জনগণের প্রয়োজনে আবারও সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জেনে গেছে যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ জন্যই তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না। জিয়াউর রহমানের আমলে অনেক সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত অনেক মানুষ হত্যা হয়েছে। এর বিচার কে করবে? এছাড়া জিয়াউর রহমানের সময়ে সেনাবাহিনীতে যে কু পাল্টা কু হয়েছে, সেগুলোর বিচার সেনাবাহিনীর আদালতেই হয়েছে। এর জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী নয়।